হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, পর্ব ১- ঈদে গাদীর অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ্ (সা.) কর্তৃক আমিরুল মু'মিনিন আলী (আঃ)'কে তাঁর উত্তরসূরী ও ইসলামী উম্মাহর খলিফা ঘোষনার দিবস উপলক্ষে তথ্যকেন্দ্র KHAMENEI.IR হযরত আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ির (হাফিঃ) ২০ টি উদ্বৃতি সংবলিত এক বিশেষ নিবন্ধন প্রকাশ করেছে!
ঈদে গাদীর, ঈদে আকবর (সর্বাপেক্ষা বড়) ও সকল ঈদ অপেক্ষা অধিক মর্যাদাপূর্ণ।
গাদীর দিবসেই ইসলামী উম্মাহর হেদায়েত ও শাসনের দায়িত্ব নির্ধারিত হয়েছে!
গাদীরের ঘটনা ইসলামের মাহাত্ম্য ও ব্যাপকতার নিদর্শন!
ঈদে গাদীর মোবারক, ঈদে গাদির মহান আল্লাহতালা ও ইসলামের ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং নীতিনির্ধারণ মূলক অধ্যায়।
গাদীর বিষয়টি কেবল শিয়া অনুসারীদের জন্যই নয়, বরং এটি একটি সার্বজনীন ইসলামিক ইস্যু।
গাদীরের এই মহান ইস্যুটি সমস্ত মুসলমানের অন্তর্গত, কারণ এর অর্থ হল ন্যায়পরায়ণ শাসনব্যবস্থা, উত্তম শাসন ব্যবস্থা এবং সর্বোপরি আল্লাহতালার প্রতিনিধির শাসনব্যবস্থা।
গাদীর এমন এক দিন যেদিন শত্রুরা আপনার দ্বীন থেকে হতাশ হয়ে পড়েছিল। ধর্মে কি এমন নতুনত্ব যুক্ত হয়েছিল যা শত্রুকে হতাশ করেছিল? ইসলামী সমাজের নেতৃত্ব, ইসলামী সরকার ব্যবস্থা ও ইমামতের ঘটনা।
গাদীরের ঘটনাটি একটি নীতি নির্ধারণী দিন, যেদিন ইসলামে একটি গুরুত্ববহ নীতি নির্ধারিত হয়েছিল। মহানবী (সা.) তাঁর জীবনের শেষ দিনগুলোতে ইমামত ও বেলায়েতের শাসন ব্যবস্থা নির্ধারণ করেছিলেন।
মানবজাতি বহুপ্রকার ও বহু ধরণের সরকার ব্যবস্থার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে; ইসলাম এসব সরকার, ক্ষমতা ও ক্ষমতায়ন ব্যবস্থাকে অনুমোদন দেয় না; বরং ইমামত ব্যবস্থাকে অনুমোদন দেয়। এটাই ইসলামের বিধি; আর গাদীর দিবস মূলত এই বাণীই ঘোষণা করে।
নবী করীম (সা.) দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে রিসালাতের সংগ্রাম চালিয়েছেন; এটা কি এমন বিষয় ছিল যা আঞ্জাম না দিলে (হয়ত বা) রিসালাতের কোনো কিছুই আঞ্জাম দেওয়া হতো না? [সূরা মায়েদা- ৬৭]
''و ان لم تفعل فما بلغت رسالته''
এটা নিশ্চয় কয়েকটি গৌণ বা অমৌলিক বিষয় হতে পারে না, এটা অবশ্যই এরচেয়েও অধিক গুরুত্ববহ কিছু; সেটা কি? সেটা হলো ইমামত।
(অনুবাদঃ রাসেল আহমেদ রিজভী)